অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র: বাংলাদেশের রাজনীতির প্যারাডাইম শিফট

June 18, 2025

রেজাউল করিম রনি

রাজনৈতিক চিন্তক ও সম্পাদক- জবান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেট্রোরেলের পিলারে শেখ হাসিনার যে ছবিতে জনগণ পাঁচ তারিখে কাঁদা ও ময়লা ছুড়ে জুতার মালা পরিয়ে দিয়েছিল। যেই রঙিন ছবিটা আসলে এই অভ্যুত্থানের অন্যতম একটা প্রতীকে পরিণত হয়েছিল তা হুট করে মুছে ফেলার খবর ছড়িয়ে পরার পরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। তবে এর মধ্যে যে খবরটি সবচেয়ে বেশি আলোচনার জন্ম দেয় তা হলো- অভ্যুত্থানের প্রায় পাঁচ মাস পরে ৩১ ডিসেম্বর পৃথিবীর এই প্রথম জেন-জি অভ্যুত্থানের প্রোক্লেমেশন ঘোষণা করতে যাচ্ছেন ছাত্র নেতৃত্ব। এই খবর চারদিকে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

আমরা এই অভ্যুত্থানের পরপরই এটার একটা ঘোষণাপত্র দরকার এই আওয়াজ তুলেছিলাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন আলোচনা ও টকশোতে এই বিষয়ে কথাও বলেছি। কিন্তু যখন আন্দোলনের ঐক্য আগের মতো অটুট নাই। বিভিন্ন দলের মধ্যে ক্ষমতার প্রতিযোগিতা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে তখন এভাবে হুট করে গণঅভ্যুত্থানের প্রোক্লেমেশন হাজির করার খবরে চারদিকে সাড়া পরে যাবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা ছোট করে এই লেখা-এর গুরুত্ব কয়েকটি দিক নিয়ে আলোচনা করতে চেষ্টা করবো।

রাজনীতির প্যারাডাইম শিফট:

বাংলাদেশের ইতিহাসের বয়ানের রাজনীতি যদি আমরা খেয়াল করি, তাহলে দেখবো এটার যে ঐতিহাসিক ন্যারেশন তা আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে শক্তিশালী করেছে। এবং হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাস শুরু হয়েছে ১৯৪৭ সাল থেকে। এর পরে ৭১ সালের জনযুদ্ধকে পুরোপুরি আওয়ামী লীগের দলীয় কৃতিত্ব বলে জাহির করার মধ্য দিয়ে গোটা ইতিহাসের প্রকল্পকে ফ্যাসিবাদ কায়েমের সহায় করে ফেলা হয়েছিল। উমবার্ত একোর বিখ্যাত কথা, ‘ট্রেডিশন ইজ ওল্ডার দেন ফ্যাসিজম’ –কথাটা বাংলাদেশের বেলায় হুবহু সত্য। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ভারতীয় বাঙালি জাতীয়তাবাদী বুদ্ধিজীবীরা এমন ভাবে জাহির করেছেন যে, আওয়ামী লীগ খুব সহজেই ফ্যাসিবাদ কায়েমের ঐতিহাসিক যুক্তি তৈরি করতে পেরেছে। এমন প্রেক্ষিতে এই ভূয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান গোটা জাতীয় ইতিহাসের মুক্তির সুযোগ করে দিয়েছে। আর এই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে- এই কালের তরুণরা যে, এখনকার ইতিহাসের কর্তা, তারা নিজের জীবন দিয়ে যে ইতিহাস তৈরি করেছে তার স্মারক হিসেবে দেরিতে হলেও এই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণা পত্র হাজির হলো। এর মাধ্যমে গোটা জাতীয় মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসের প্রকল্পকে ২৪ এর আলোকে পাঠের একটা প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এবং এই ইতিহাসের নয়া অভিমুখ গোটা জাতীয় রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে। সেইদিক থেকে এই ঘটনাকে বাংলাদেশের রাজনীতির প্যারাডাইম শিফট হিসেবে পাঠ করা যায়।  কেন এমনটা বলছি তা একটু বিস্তারিত  বলা দরকার। প্রথমে একদল বুদ্ধিজীবী এই অভ্যুত্থানকে বিপ্লব হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলো এবং যে-সব বিরোধী দল এতে ভূমিকা রেখেছিল, বিশেষ করে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি গত ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে নিয়োজিত ছিল। এমনকি এই  আওয়ামী ফ্যাসিবাদের চরিত্র জাতির কাছে পরিষ্কার হতে থাকে বিরোধী দলের উপর চরম অত্যাচার ও নির্যাতন দেখতে দেখতে। বিএনপির বিপুল জনসমর্থন ও বিশাল কর্মী থাকার পরেও দলটি কখনই  সহিংসভাবে ফ্যাসিবাদের মোকাবেলায় ঝাঁপিয়ে পড়ে নাই। বরং যতটুকু সুযোগ পেয়েছে সব সময়ই অহিংস ও গণতান্ত্রিক পথেই দাবি জানিয়ে এসেছে। আর তাদের এইসব গান্ধিবাদী মানে শান্তিপ্রিয় দাবি-দাওয়া নিয়ে হতাশ সমর্থক ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হাসি-ঠাট্টা করেছেন। কিন্তু দলটির কিছু নীতি ও কৌশল নিয়ে জনমনে অসন্তোষ ছিল। আওয়ামী লীগের একতরফা প্রোপাগান্ডার ফলে নতুন প্রজন্ম বিএনপিকে গণতন্ত্র ও জনগণের ক্যাল্যাণের বিষয়ে আস্থায় আনতে পারছিল না। কিন্তু আওয়ামী লীগের সীমাহীন অত্যাচার থেকে জনগণ মুক্তি চাইছিল। বিএনপির নেতাদের মধ্যে যার নেতৃত্বে জনগণ লড়াই করতে রাজি ছিল এমন নেতাদের কাউকে দৃশ্যপটে রাখতে দেয় নাই শেখ হাসিনা সরকার। খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রেখেছিল। তারেক জিয়া লন্ডনে অভিবাসী হিসেবে থাকছেন। ফলে গণআন্দোলন গড়ে তুলবার চেষ্টা বিএনপি বারবার করেও সফল হচ্ছিল না। সর্বশেষ ৭ জানুয়ারী ২০২৪ এর নির্বাচনের আগে বিএনপি যখন ঢাকাতে সমাবেশ করে। নিরপেক্ষভাবে ভোটের দাবি জানায় সমাবেশে চরম ক্র‍্যাক-ডাউন চালানো হয়। এবং  বিপুল নেতা-কর্মীদের জেলে ভরে হাসিনা ডামি নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করে। তারপরে নেতারা ধীরে ধীরে ছাড়া পেয়ে আবারও দল গুছিয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আর বিপুল নেতা-কর্মী আন্দোলনের মাঠে ফেরার জন্য প্রস্তুত ছিল। তাদের সামনে অপশন ছিল, হয় গ্রেফতার হওয়া অথবা আন্দোলন করে সরকারকে হটানো।  লক্ষ লক্ষ মামলা করা হয়েছিলো নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। ফলে বিপুল এই পালাতক নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকেই তাদের জন্য সেরা অপশন মনে করছিল।

এমন সময়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্রদের আন্দোলন শুরু হলে মধ্য জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে আন্দোলন চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। সব বিরোধী দল ও সর্বস্তরের জনগণ রাস্তায় নেমে এসে ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতন ঘটায় ৫ আগস্ট। শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে অশ্রয় নেয়।

এরপরে এই আন্দোলনের স্টেক নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। আবিষ্কার হয় বিতর্কিত মাস্টারমাইন্ড। সব বিরোধী দল ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে যে সরকার গঠিত হয় তার নাম হয়- অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু একদল লোক মনে করে এটাই বিপ্লবী সরকার হবে। সংবিধান থেকে শুরু করে তারা সব কিছু বাতিল করে দিয়ে একদম নতুন করে দেশ গড়ে তুলবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়- তারা পুরোনো সংবিধানের অধীনে শপথ নেয়। সেনা-পুলিশ-আমলাতন্ত্র সব কিছুই আগের মতো থেকে যায়। শুধু কিছু লোক পরির্বতন হয়।

বিরোধী দলগুলো নিজেদের অনুগত লোকদের প্রথমদিকে সরকার পরিচালনায় যুক্ত করার চেষ্টা করে কিছু কিছু সফল হলেও পরে সেটা ছাত্রদের নিয়ন্ত্রনে চলে যায়। ফলে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল ও ছাত্রদের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে বিরোধ দেখা দেয়। আন্দোলনে যেহেতু বিরোধী দলের রাজনীতির সাথে জড়িত এমন বিপুল ছাত্ররাও নিজেদের দলীয় পরিচয় আড়ালে রেখে শামিল হয়েছিল ফলে তারা যখন এই নতুন ছাত্র নেতৃত্বকে একচ্ছত্রভাবে মেনে নিতে অস্বীকার করে তখন ধীরে ধীরে ছাত্ররা বুঝতে পারে এভাবে ক্ষমতায় থাকা সম্ভব না।  জাতীয় ঐক্য জরুরি। ভারতীয় প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য দ্রুতই গড়ে ওঠে। ফলে ছাত্ররা যে আমূল বৈপ্লবিক পরির্বতন করে ফেলতে পারবে ভেবেছিল তা আসলে বাস্তব সম্মত ছিল না। ফলে তারা দেখলো- এই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস যদি না থাকে তাদের অস্তিত্বই থাকবে না। অন্যদিকে এই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের যে নয়া স্বপ্ন ও নাগরিক ভিত্তিক প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র সমৃদ্ধ একটা দেশ গড়া- তা রাজনৈতিক দল ছাড়া ও জনগণের নির্বাচিত সরকার ছাড়া সম্ভব না। কাজেই  আগামীর পরির্বতন বা পুনঃগঠন কোন স্পিরিটের আলোকে হবে তার একটা ঘোষণাপত্র দেয়াই এই অভ্যুত্থানকে প্রাসঙ্গিক রাখার একটা কার্যকর প্রক্রিয়া হতে পারে। এবং পরে যারাই নির্বাচিত হয়ে আসুক তাদের এই ঘোষণার কথা স্মরণ করিয়ে চাপ প্রয়োগ করা যাবে। হাজার হাজার শহিদ ও আহতদের ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এই প্রোক্লেমেশনকে পাশ কাটানো কঠিন হবে নতুন রাজনৈতিক শক্তির জন্য। অন্যদিকে এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আগামীতে ছাত্ররাও নিজেদের রাজনৈতিক শক্তি আকারে হাজির করার সুযোগ পাবেন। গণঅভ্যুত্থানই রাজনৈতিক বন্দোবস্ত না। এটাই ক্ষমতায় থাকার ম্যানডেট না। এটা এখন সবার কাছে পরিষ্কার হয়েছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য রাজনীতি দরকার। রাজনীতিহীন ক্ষমতা একটি ফ্যাসিবাদী প্রবণতা। সেটা যারাই করুন। কাজেই এই ঘোষণাকে একদিক থেকে বাংলাদেশের রাজনীতির প্যারাডাইম শিফট হিসেবে দেখা যেতে পারে। ২৪ এর ঐতিহাসিক কর্তা সত্তার উন্মেষের দলিল হিসেবেও দেখা যেতে পারে। আগামী দিনের রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে- এই নতুন কর্তাসত্ত্বাকে কে কতটা ধারণ করতে পারছেন।

ব্যাখ্যার রাজনীতি:

একটা ইভেন্ট বা ঘটনা ঘটে গেলে তার পরে সামাজিক পরিসরে যা শুরু হয় তাকে বলে ব্যাখ্যার রাজনীতি বা যেটাকে বলে পলিটিক্স অব হারমনিউটিক্স। এখন এই প্রিয়াম্বল কতটা আগামীতে কার্যকরী হবে তা নির্ভর করে এর মধ্যে অভ্যুত্থানের কালেকটিভ বা প্লুরাল সাবজেক্টিভিটিকে কতটা ধরতে পারা গিয়েছে। জনগণের সম্মিলিত স্পিরিট এখানে কতটা প্রতিফলিত হয়েছে। এটার ট্রুথফুলনেস ও পোয়েটিক স্পিরিচুয়ালিটিই এটার ভবিষ্যৎ কার্যকারিতা নির্ধারণ করে দিবে। এটার মধ্যে যদি জনগণের মুক্তির যে স্পিরিট তাকে জীবন উৎসর্গ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল। তার মধ্যে যে কালেকটিভ সলিডারিটি জেগে উঠেছিল তাকে ধারণ করা না যায় এবং যে মুক্তির আকাঙ্ক্ষার বা ধারণার কোন ভাষা ছিল না কিন্তু প্রকাশ ছিল মিছিলের স্রোতে। যে মুক্তির আইডিয়া উইথ আউট ল্যাঙ্গুয়েজ পৌঁছে গিয়েছিল লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের মনে। সেই বিমূর্ত কম গুল উ্লকে যদি এটা ধারণ করতে না পারে তা হলে এর ইনফিনিট ইন্টারপ্রিটেশন এর সক্ষমতা থাকবে না। তখন এটা গোটা জাতীয় ঐক্যের প্রতিধ্বনি না হয়ে একটা গোষ্ঠীর স্বার্থ ও প্রাধান্য বিস্তারের হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। যেমনটা আমরা দেখেছি ৭১-এর ঘোষণার মাধ্যমে। যারা যুদ্ধের মাঠে ছিল তারা বাদে যারা যুদ্ধ থেকে দূরে ভারতে প্রবাস জীবন কাটিয়েছে তারা পরে ব্যাখ্যা করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে। এবং এটাকে দাঁড় করিয়েছে মেজরিটি মুসলমানের স্পিরিটের বিরুদ্ধে। ভারতের গোলামির একটা দলিল বানিয়েছে ৭১ কে। ফলে এই প্রোক্লেমেশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো- এর মধ্যে পবিত্র স্পিরিটের কালেকটিভ কণ্ঠ প্রতিধ্বনিত হওয়ার  মতো স্পেস থাকতে হবে। সবাইকে স্পেস দিতে পারতে হবে। এর বিমূর্ততাও জরুরি। যাতে করে এটার একাধিক সৃজনশীল ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। এটা এক রৈখিক হলে এখান থেকে বহু বিচিত্র কণ্ঠ ও স্পিরিটের রাজনীতি তৈরি হওয়ার সুযোগ পাবে না। এর নৈতিক ও স্পিরিচুয়াল বিউটিই এটাকে অনন্ত আয়ু দিতে পারে।

অন্যদিকে, সবাইকে ধারণ করার বদলে, মূল্যবোধ কে প্রাধান্য দেয়ার বদলে যদি কৌশলে কোন বিশেষ মতাদর্শকে প্রাধান্য দেয়া বা এটা যদি একদল লোকের পছন্দের চিন্তা ও রাজনৈতিক বয়ান তৈরির কাঁচামাল হিসেবে তৈরি করার প্রচেষ্টা নেয়া হয়ে থাকে- তা হবে খুবই দুঃখজনক। আর যখন এটা নানাদিক থেকে ব্যাখ্যা করা শুরু হবে তখনই এর ট্রুথ বা এসেন্স আছে কিনা তা ধরা পড়বে। ফলে সরল ওপেননেসকে আমলে না নিয়ে বিশেষ কোন আদর্শকে প্রাধান্য দেয়ার জন্য এই জন্য একটা বিলম্বিত প্রোক্লেমেশন তৈরি করা হয়- তা হলে এটা কয়েক পাতা কাগজ ছাড়া আর কোন গুরুত্ব তৈরি করবে না জাতীয় জীবনে। এই জন্য আন্দোলনে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে, যে স্পিরিটকে ধারণ করে এবং জনগণের ও সব বিরোধী দলের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে নতুন যে বাংলাদেশ আমরা দেখতে পাচ্ছি তার মূল শক্তি হলো ট্রুথ। এটা অনেকটা কবিতার মতো। অনেক সুন্দর শব্দ দিয়ে লেখা একটা বানানো কবিতা যেমন  মনকে প্রশান্ত করতে পারে না কিন্তু খুব সৎ উপলব্ধির দুইটা লাইনই অনেক সময় মনে বিশাল আলোড়ন তুলতে পারে। এবং পাঠক পড়া মাত্রই এর সত্য ও স্পিরিচুয়ালিটিকে কানেক্ট করতে পারেন। জাতীয় প্রোক্লেমেশনও অনেকটা এইরকম পোয়েটিক-ট্রুথফুলনেস ডিমান্ড করে।

কাজেই এই ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে আমলে নিয়েও বলতে হবে এর নৈতিক স্বচ্ছতা ও সরল বিমূর্ততাই এই ঘোষণা পত্রের প্রাণ সঞ্চার করতে পারে। আগামী দিনের রাজনীতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।