রাষ্ট্রতর্ক

রেজাউল করিম রনি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেট্রোরেলের পিলারে শেখ হাসিনার যে ছবিতে জনগণ পাঁচ তারিখে কাঁদা ও ময়লা ছুড়ে জুতার মালা পরিয়ে দিয়েছিল। যেই রঙিন ছবিটা আসলে এই অভ্যুত্থানের অন্যতম একটা প্রতীকে পরিণত হয়েছিল তা হুট করে মুছে ফেলার খবর ছড়িয়ে পরার পরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। তবে এর মধ্যে যে খবরটি সবচেয়ে বেশি আলোচনার জন্ম দেয় তা হলো- অভ্যুত্থানের প্রায় পাঁচ মাস পরে ৩১ ডিসেম্বর পৃথিবীর এই প্রথম জেন-জি অভ্যুত্থানের প্রোক্লেমেশন ঘোষণা করতে যাচ্ছেন ছাত্র নেতৃত্ব। এই খবর চারদিকে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

বুলবুল সিদ্দিকী

বুলবুল সিদ্দিকী, সহযোগী অধ্যাপক, রাজনীতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

পারভেজ আলম

পাঁচ আগস্ট তথা ছত্রিশে জুলাই শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেন। কিন্তু যাওয়ার আগে যে হত্যাযজ্ঞ তিনি চালিয়ে গেছেন, তার ক্ষত এখনো দগদগে। এই ক্ষত বা ট্রমার শিকার কেবল জুলাইয়ের শহীদ ও আহতদের পরিবারগুলোই হয় নাই। পুরো বাংলাদেশের জনসমাজই মানসিকভাবে এই ক্ষত বা ট্রমা বয়ে চলেছে, যার নানানরকম প্রকাশ আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।

অনুবাদ: মুহিউদ্দীন ইকবাল, তামিম মুনতাসির

সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অভিযোজন একটি সভ্যতার উপর আরেকটির বিজয়ের মধ্যে দিয়েই পরিপক্কতা লাভ করে। তারপর এই নয়া সভ্যতা  প্রাচীন সংস্কৃতির নিজস্ব স্বাভাবিক যাত্রার গোড়া কেটে দিয়ে সব ঐতিহ্যকে ছিন্নভিন্ন করে দেয় কিংবা প্রাচীন আর্থ সামাজিক ব্যবস্থাকে কবজা করে ফেলে। এতে করে প্রাচীন ব্যবস্থার কোমর ভেঙে এতই দুর্বল হয়ে পড়ে যে তার আর নিজস্ব ঐতিহ্যকে ধারণ করে দাঁড়ানোর মত মুরোদ থাকেনা। জনপদের বাসিন্দারা হয়ে পড়ে রিফুজি। এমন জিল্লতির জিন্দেগি থেকে রেহাই পেতে এবং নিজেদেরকে ব্যক্তি হিসেবে টিকিয়ে রাখার জন্য তখন তারা বিজিত সভ্যতার কৃষ্টি কালচারকে গ্রহণ করে নেয়। এই বিজিত মানুষেরা আসলে জবরী-সিপাহীর মতো, যাদেরকে জবরদস্তি বাহিনীতে ভর্তি করানো হয়েছিল।

তামিম মুনতাসির, মোস্তফা মুশফিক, মুহিউদ্দীন ইকবাল

আইনে আচ্ছাদিত সার্বভৌম ক্ষমতার নেকাব যখন মজলুমের সামনে উন্মোচিত হয় যখন তখন আইন তার সহজাত অর্থময়তা ও কার্যকরতা হারিয়ে ফেলে। জনতার বিপ্লবী সহিংসতার মধ্য দিয়ে যখন তাদের চূড়ান্ত ক্ষমতা প্রকাশিত হয় আইন হয়ে যায় জনতার কাছে ছেলেখেলা, যার মাধ্যমে আইন প্রকাশ করে অনন্ত বাতিলের মধ্যে।

সালেহ খান

এখন আসা যাক, বিভাজনের রাজনীতি বলতে এখানে কি বুঝানো হয়েছে। এটা বোঝার আগে আমাদেরকে জাতীয়তাবাদের উত্থান ও পরিণতি সম্পর্কে ধারণা রাখা দরকার। আমাদের এখানকার প্রেক্ষাপটে, জাতীয়তাবাদ প্রথমদিকে অনেক ক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ হিসেবে গড়ে ওঠে।

ওয়ায়েল হাল্লাক

আঠারো শতাব্দি থেকে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো  দখলকৃত কলোনিতে ক্রমাগতভাবে তাদের ক্ষমতাকে দৃশ্যমান করে তোলার তাগিদে শুধু আচার অনুষ্ঠান কিম্বা রঙ্গমঞ্চ প্রদর্শন করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং অফিসিয়ালি তাদের কার্যক্রম শুরু করে।

তালাল আসাদ

২০১১ সালের এপ্রিলে বাদশাহ ফয়সাল রিসার্চ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ সেন্টার এবং সৌদিতে অবস্থিত অস্ট্রিয়ান দুতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় আমার বাবার জীবন ও কর্মের উপর এক আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়। যদিও উক্ত কনফারেন্সের মুল বিষয়বস্তু ছিল ‘মোহাম্মদ আসাদ- এ লাইফ ফর ডায়ালগ নামে।’